চাকরিশিক্ষা

বাংলাদেশে ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যাংকিং কেন বেছে নেব?

বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যাংকিং একটি বিশাল সম্ভাবনার নাম। সরকারি ও বেসরকারী উভয় খাতে, আজকাল অনেক গুলো ব্যাংক বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আস্তে ও তাদের সাথে কাজ করার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে, যাতে করে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির দ্রুত বিকাশ ও উন্নয়ন ব্যাংকিং খাতে কাজ করার জন্য অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করছে।

ব্যাংকিং এ ক্যারিয়ার গড়া ততটা কঠিন কোন ব্যাপার নয়, কিন্তু এর জন্য প্রার্থীকে এই পেশা ও কাজের প্রতি দৃঢ় সংকল্প ও নিষ্ঠা থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রের চাকরি হয়ত অনেক টাই পরিশ্রম সাপেক্ষ এবং কঠোর, তবে এর থেকে যে ফলাফল আপনি পেতে পারেন তার জন্য এই কষ্ট সামান্যই মনে হবে। আজ Bikroy.com সেই সব প্রার্থীদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে যারা বাংলাদেশে এই সম্ভাবনাময় চাকরিক্ষেত্রে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন ও বাস্তবায়নের পথ খুঁজছেন।

চাকরির নিরাপত্তা ও  পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে একটি ব্যাংকিং চাকরি অনেক ভালো ও সুবিধাজনক। কিন্তু এই ক্যারিয়ারের প্রতি সর্বজনীন জনপ্রিয়তার পেছনে এগুলোই একমাত্র কারণ নয়। তাই চলুন প্রথমে জেনে নিই ব্যাংকিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে।

বৈচিত্র্য ও চ্যালেঞ্জ সমূহ:

কাজ করার ক্ষেত্র হিসেবে অন্যতম বৈচিত্র্যময় একটি ক্ষেত্র হলো ব্যাংকিং। এই ক্ষেত্রে বহুল সংখ্যক চাকরির অপশন, আর একই সাথে কাজে নানা রকম বৈচিত্রের সমাহার এটা নিশ্চিত করে যে একজন কর্মীর সব ধরণের স্বার্থ ও তৎপরতার জন্য আলাদা আলাদা চাকরির প্রোফাইল এই ক্ষেত্রে রয়েছে। ব্যাংক অফিসার থেকে শুরু করে ফাইন্যানশিয়াল এনালিস্ট, একাউন্ট ম্যানেজার হতে শুরু করে স্পেশালিস্ট আইটি অফিসার, বেছে নেবার জন্য রয়েছে ব্যাপক ধরণের অপশন।

এছাড়াও ব্যাংকিং ক্ষেত্রের প্রতিটি চাকরিই বহুমুখী এবং চ্যালেঞ্জিং, নিয়মিত নিজেকে পরীক্ষা করা ও ভিন্ন কিছু করার মাধ্যমে আপনি কখনোই বোর হবেন না। উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং যারা সবসময় নিজের ব্যক্তিত্বকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করতে থাকেন তাদের জন্য এই রকম সুযোগ অনেক বেশি প্রেরণাদায়ক। যখন আপনি এমন কাজ করেন যা শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে, তখন আপনি আপনার সর্বোচ্চ উদ্যম ও স্পৃহা নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হবেন।

ব্যক্তিগত উন্নয়নের সুযোগ:

ব্যাংকিং খাতে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ প্রতিভাবান ও গতিশীল কর্মীদের জন্য একটি স্থির ও ঊর্ধ্বগামী উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করে দেয়, যা তাদের ক্যারিয়ার গঠনে ব্যাপক ভাবে সহায়ক। এই ক্ষেত্রে কর্মচারীরা এমন এক মনোরম পরিবেশে কাজ করে থাকেন যেখানে তারা ব্যক্তিগত সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানো ও নিজেদের চাকরির প্রোফাইল আরো উন্নত করার সমূহ সুযোগ পেয়ে থাকেন। আরও দেখে নিন কিভাবে ব্যবসায় ক্যারিয়ার গড়ে তুলবেন?

জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করার সু্যোগ:

যেকোন সরকারী নীতির প্রধান লক্ষ্য ও একটি বৃহত্তর অংশ হলো অর্থব্যবস্থা বা ফাইন্যান্স। সোজা কথায় একটি জাতীর সামগ্রিক অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলো ব্যাংকিং। আর তাই এই খাতে কর্মরত সকল ব্যক্তিই তাদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা পালনের একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে থাকেন, হোক তা ক্ষুদ্র কিংবা বৃহৎ পরিসরে। একই সাথে নিজের জন্য এবং দেশের সেবা করার তাগিদে কাজ করে যাওয়ার এর চেয়ে ভালো উপায় আর আছে কিনা সন্দেহ!

বিস্তর ভ্রমণ:

ব্যাংকিং চাকরিতে দেশের বিভিন্ন অংশে গিয়ে বসবাস করার কিংবা ভ্রমণ করার সুযোগ থাকে, এমনকি মাঝে মাঝে বিদেশ ভ্রমণেরও সুযোগ আসে। ব্যাংকিং খাতের একটি চাকরিতে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ও বিভিন্ন সময়ে অনেক বেশি ভ্রমণ করার প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক উভয় ধরণের ভ্রমণই অন্তর্ভুক্ত। এই রূপে একজন ব্যক্তি একটি বদ্ধ পার্থিব অফিস স্পেসে বসে কাজ করার একঘেয়েমি ছাপিয়ে, একই সাথে কাজ করা ও ছুটি কাটানোর আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।

মোটা অংকের পারিশ্রমিক:

এটা স্বীকার না করে উপায় নেই যে টাকার গুরুত্ব অপরিসীম! আধুনিক সুযোগ সুবিধা ও সংস্কৃতির এই সময়ে এসে, আজকের তরুণ প্রজন্ম প্রবৃদ্ধি এবং সুখের মূল মাপকাঠি হিসেবে দেখে টাকাকেই। আর যদি আপনার মনের মত ও আপনার জন্য উপযুক্ত একটি কাজ করার পাশাপাশি ভালো অংকের টাকাও কামাই করতে পারেন, তাহলে এর চেয়ে বাস্তবসম্মত ও সর্বজনীন কাজ আর কিছুই হতে পারে না। ঠিক এই সুবিধাটাই পাওয়া যায় ব্যংকিং খাতে একটি চাকরি করার মাধ্যমে। ব্যাংকে কাজ করার সুনাম আর একই সাথে মোটা অংকের বেতন পাওয়া, এ যেন এক সুবর্ণ সুযোগ। এছাড়াও বেশির ভাগ ব্যাংকিং চাকরিতে চাকরিকালীন সময়ে প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমান বোনাস ও অন্যান্য পুরষ্কারও দেয়া হয়ে থাকে, যা নির্ভর করে আপনার মেধা ও চাকরির বয়সের উপর। অতএব সব দিক থেকেই শুধু লাভ ই লাভ!

সৃজনশীলতার ক্ষেত্র:

ব্যাংকিং খাতের যেকোন চাকরিই সর্বদা পরিবর্তনশীল। প্রতিদিন নিত্য নতুন ও দ্রুততর উপায়ে টাকা উৎপাদন ও আমদানী হওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব ও ভূমিকাও পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার পাশাপাশি ব্যাংকিং এ ব্যবসায়িক নীতিমালা যোগ হওয়ার দরুন, আগের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীলতার মূল্য অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। তার ওপর আবার যোগ হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা, পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থার প্রতিনিয়ত চাপ আসার কারণে, আপনার সৃজনশীল হওয়া কিংবা কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীলতা দেখানোর ক্ষেত্রে বলতে গেলে আর কোন বাধা কিংবা সীমা নেই।

যোগাযোগ ক্ষমতা বা বার্তালাপের দক্ষতা বৃদ্ধি:

বেশির ভাগ ব্যাংকিং চাকরির একটা বড় অংশ এর মূল্যবান গ্রাহকদের পর্যাপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান ও সন্তুষ্টি নিশ্চিতকরণের মধ্যে আবহমান। এই দিক থেকে সফল হওয়ার জন্য গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা এবং সরাসরি বার্তালাপ করাই মূল চাবিকাঠি। এরূপ ঘন ঘন ও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরণের চাহিদা ও জীবনধারার মানুষের সংস্পর্শে আসার এক ভিত্তি স্থাপন করে দেয় এবং কর্মকর্তাদের একটি সামাজিক অবস্থান গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এই ধরণের অভিজ্ঞতা একজন ব্যক্তির যোগাযোগের দক্ষতা এবং নিজেদের উপর আস্থা ভবিষ্যতে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

চাকরির নিরাপত্তা:

একটি সরকারী ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটি চাকরি প্রকৃতপক্ষে সারা জীবনের জন্য পুঁজি হিসেবে গণ্য করা হয়। কর্মক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতির সুযোগ এবং কোম্পানির বিস্তার কিংবা সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকানোর জন্য কখনো চাকরি না হারাবার নিশ্চয়তা থাকার ফলে, এ ব্যাপারে কোন দ্বিধা নেই যে প্রায় যেকোন মানুষের কাছেই ব্যাংকিং চাকরি কেন এতটা আকর্ষণীয়। এই মিশ্রণে আরো আনুষঙ্গিক সুবিধা ও নিয়মিত প্রাপ্তির কথা যোগ করে দেখলে ব্যাংকিং খাত বাংলাদেশে চাকরির সবচেয়ে সেরা আকাঙ্খিত খাত বলা চলে।

চাকরিতে পরিতৃপ্তি:

ব্যাংকিং খাতে একটি স্থির ও লাভজনক চাকরির সমস্ত সুযোগ সুবিধা এবং প্রাপ্তি সাথে নিয়ে, এই চাকরিতে পরিতৃপ্তি অর্থাৎ মনের সন্তুষ্টি অর্জন করা অবশ্যম্ভাবী। একদিকে যেমন আজকের তরুণ প্রজন্মের চাকরি খোঁজা ও বাছাই এর ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান শর্তই হলো চাকরিতে পরিতৃপ্তি, অপরদিকে কেন একজন ব্যক্তি ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যাংকিং খাতে চাকরি খুঁজবেন সেই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

এখন যেহেতু আমাদের কাছে ব্যাংকিং চাকরি কে ভালোবাসার ও আকাঙ্খা করার এসব বড় বড় কারণ জমেছে, এখানে আমরা এই খাতে কাজ করার পেছনে আপনার প্রস্তুতির জন্য এমন কিছু পদক্ষেপের কথা জানাতে চাই যা আপনাকে এই সুবর্ণ সুযোগ লুফে নেয়ার ক্ষেত্রে দারুণ সাহায্য করতে পারে।

ব্যাংকিং চাকরি প্রস্তুতি

ধাপ ১: নিজেকে চিনুন

আপনার ব্যবহারগত ও বৈশিষ্ট্যের মধ্যে উল্লেখিত এইসব ব্যাপার বিদ্যমান রয়েছে কিনা তা খেয়াল করে নিন, আপনি কি একটি ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের জন্য উপযুক্ত? আপনি কি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় লক্ষ্য করে থাকেন? আপনি কি একজন পারফেকশনিস্ট এবং সেজন্য পরিশ্রম করতে ইচ্ছুক? লক্ষ্য অর্জনের নেশা কি আপনার রয়েছে? প্রতিনিয়ত নতুন তথ্য জানা এবং নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসেন? আপনি কি আপনার মাঝে একতি নির্ভরযোগ্য প্রতিচ্ছবি দেখাতে পারবেন? মানুষজন নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন (যাদের মধ্যে অনেকেরই চাহিদা খুব বেশি)? এবং সর্বশেষে আপনার অপরাধমূলক কোন ইতিহাস নেই তো বা আপনি চারিত্রিক দিক থেকে স্বচ্ছ তো? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যদি বিনা দ্বিধায় দিতে পারেন তবেই আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন। এর সাথে আরও জানুন ইন্টারভিউ এর জন্য নিজেকে ভালো মত প্রস্তুত করবেন?

ধাপ ২: শিক্ষাগত যোগ্যতা

ব্যাংকিং খাতে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সুযোগ তখনই পাওয়া যায় যখন আপনি বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন থেকে একটি ব্যাচেলর্স ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে অন্যান্য বিভাগ থেকে পাশ করে আসা প্রতিযোগীদেরও বেশ ভালো সুযোগ থাকে। আপনাকে মূলত আপনার বেসিক জ্ঞান মজবুত করতে হবে এবং ব্যাংকিং ও এই সংক্রান্ত বিষয়ে যথাসম্ভব ধারণা রাখতে হবে। গণিত এবং ইংরেজিতে বিশেষ পারদর্শিতার পাশাপাশি উত্তম যোগাযোগের দক্ষতা ব্যাংকিং চাকরিতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অতএব এই বিষয়গুলোতে ভালোভাবে নজর দিন এবং এগুলোকে পাকাপোক্ত করে ফেলুন। বাংলাদেশের চাকরির বাজারের অন্যতম সেরা সম্ভাবনাময় ও পরিপূর্ণ চাকরিটি অর্জন করে নেয়ার জন্য নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করে নিন।

ধাপ ৩: চাকরির খোঁজ

যেকোন সম্মানিত ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ/এমবিএ কিংবা মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ করার পর আপনি সহজেই ব্যাংকিং খাতে আবেদন করতে পারবেন, যদি ব্যাংক গুলো থেকে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে আপনাকে চোখ কান যথেষ্ট খোলা রাখতে হবে এবং চোখে পড়া মাত্রই যেকোন সুযোগ তৎক্ষণাৎ লুফে নিতে হবে। আর চাকরি পাবার ক্ষেত্রে কেবল আবেদন করাটাই শেষ কথা নয়, আবেদন করাটা আসলে কেবল একটা সুযোগ নেয়া মাত্র। আপনাকে ওদের পরীক্ষা গুলোর জন্যও ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। বাজারে পাওয়া যায় এমন বিভিন্ন ব্যাংক পরীক্ষার স্যাম্পল বই, গাইড কিংবা প্রশ্নব্যাংক এর সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন। ব্যাংক গুলোর সর্বশেষ খবর ও তথ্য পাওয়ার জন্য নিয়মিত জাতীয় সংবাদপত্র গুলোয় এবং অনলাইনে বিভিন্ন ব্যাংকের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে পারেন। 

ধাপ ৪: ট্রেনিং নিন

ব্যাংকিং এ আপনার ক্যারিয়ার শুরু করার আরো একটি উপায় রয়েছে হাতের নাগালে। বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে বিশেষজ্ঞ একটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার নাম হলো বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)। এটি ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। প্রতি বছর কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী বিআইবিএম এর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন এবং বহু কঠিন প্রতিযোগিতা অতিক্রম করার পর প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে ট্রেনিং এর জন্য বেছে নেয়া হয়। এই প্রোগ্রামটির সময় কাল ১ বছর এবং বিআইবিএম থেকে বছর জুড়ে এই কোর্স সফল ভাবে শেষ করা ও পাশ করার পর একজন প্রার্থী যথাযথ ভাবে আত্মবিশ্বাসী ও বিজ্ঞ হয়ে ওঠেন এবং বাংলাদেশের প্রায় যেকোন ব্যাংকে একটি ভালো মানের চাকরি পাওয়া ও করার মত যোগ্য হয়ে ওঠেন। অতএব ব্যাংকিং খাতে সত্যিকার অর্থে একটি স্থায়ী ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে এটি আপনার জন্য সেরা সম্ভাবনাময় একটি অপশন হয়ে উঠতে পারে। এ সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.bibm.org.bd সাইটটি।

ধাপ ৫: সর্বশেষ প্রস্তুতি

অবশেষে আপনাকে আপনার দক্ষতার বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগী ও অবিচলিত হয়ে উঠতে হবে এবং নিজেকে আপনার স্বপ্নের চাকরিটির জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত করে তুলতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা এবং যোগাযোগের দক্ষতা টিকে থাকার জন্য এবং ব্যাংকিং খাতে চাকরি করে সফলতা অর্জনের জন্য আবশ্যক। একই সাথে আপনার জরুরি অবস্থা সামলানোর দক্ষতা এবং ক্লায়েন্ট এর সাথে তাল মেলানোর ক্ষমতাও হতে হবে আকর্ষণীয়। এছাড়াও, আজকের কর্পোরেট দুনিয়ায় ভালো প্রেজেন্টেশন দেবার দক্ষতা অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। আপনি যদি নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে অর্ধেক কাজ সেখানেই সম্পন্ন হয়ে যায়। অতএব অফিসের পরিবেশের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন, আপনার কাজ ও ক্লায়েন্ট এর মতামত ও প্রতিক্রিয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন। তাদের প্রয়োজনের কথা মন দিয়ে শুনুন এবং অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিন। আপনি যদি আপনার কাজে আন্তরিক থাকেন তাহলে সাফল্য আসতে খুব বেশি দেরি লাগবে না।

সকল শ্রেনীর মানুষের কাছেই ব্যাংকিং খাতের চাকরি অনেক বেশি আকর্ষণীয় বহুকাল ধরেই। ব্রাউজ করুন আমাদের অনলাইন চাকরির পোর্টাল bikroy.com/jobs এ আর আপনার জন্য উপযোগী একটি ব্যাংকিং চাকরিতে আজই আবেদন করুন! ভাগ্য আপনার সহায় হোক!

 

Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Pujan Kumar Saha

Digital Marketing Manager

Related Articles

Back to top button
Close
Close