হোম এবং লিভিং

এসি কেনার টিপস : ইনভার্টার বনাম নন ইনভার্টার এসি

গ্রীষ্মের দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া মাঝে মাঝে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। একটু শান্তির বাতাস ঘরে আসার জন্য আমরা হয়ত জানালা খুলে দিই, কিন্তু তখনই আমাদের ফোনের আবহাওয়ার অ্যাপটিতে ভেসে ওঠে “৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত অনুভব”। এই অবস্থায় কোনো রকম বাতাস ঘরে আসবে বলে আশা করাই বাহুল্য।

বহুদিন ধরে যে এয়ার কন্ডিশনারটা কিনি কিনি করেও কেনা হয়নি, সেটা ঘরে নিয়ে আসার হয়ত এটাই মোক্ষম সময়। এরকম অসহনীয় গরমে স্বস্তির পরশ পাওয়ার জন্য এসি কেনার আইডিয়াটা খুব একটা মন্দ লাগে না। কিন্তু মানিব্যাগ ভরা টাকা নিয়ে কাছের কোনো ইলেকট্রনিক্স শপে হানা দেয়ার আগে এসি সম্পর্কে ন্যূনতম কিছু বিষয় জেনে রাখলে হয়ত আপনার সিদ্ধান্ত নিতে বেশ সুবিধা হবে।

একটি এয়ার কন্ডিশনার কীভাবে কাজ করে

আমরা যেমনটা ভাবি, আসলে এয়ার কন্ডিশনারের গঠন ও কাজের ধরণ মূলত তার চেয়েও সহজ। এক বাক্যে বলতে গেলে এটি একটি রুমের মধ্য থেকে বাতাস টেনে নেয়, তারপর সেটিকে একটি ইভাপোরেটর বা বাষ্পীভবন যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে চালিয়ে ঠান্ডা করে এবং সবশেষে ঠান্ডা বাতাস রুমে ছেড়ে দেয়।

অনেকের মধ্যেই একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে এসি ঘরের বাইরের অংশ থেকে বাতাস টেনে আনে, কিন্তু সত্যি বলতে একটি এসি সব সময়ই শুধুমাত্র ঘরের ভেতরের বাতাস নিয়ে কাজ করে। একটি এসিতে ইভাপোরেটরের পাশাপাশি থাকে কম্প্রেসার, যেখানে কুলিং গ্যাসটিকে ঠান্ডা করা হয়, আর এই ঠান্ডা কুলিং গ্যাসটিই পরবর্তীতে রুমের ভেতর থেকে নেয়া উষ্ণ বাতাসকে ঠান্ডা করে।

সাধারণত এসির কম্প্রেসার মেশিনগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর স্বতন্ত্র ও ধারাবাহিক ভাবে সুইচ অন ও অফ হতে থাকে। কিংবা নতুন ইনভার্টার প্রযুক্তি সহ দামি এসি গুলোয় এই  কম্প্রেসার পুরোটা সময় জুড়ে চলতে থাকে, কিন্তু এর গতি বার বার পরিবর্তন হতে থাকে। দু’টো ক্ষেত্রেই সহজ ভাবে বলতে গেলে কম্প্রেসারের কাজ হচ্ছে রুমের মধ্যে পুরোটা সময় একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখা।

ইনভার্টার নাকি নন ইনভার্টার?

Inverter vs non-inverter

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের সাথে আমরা প্রায়ই দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্যে আরো উন্নত সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। ইদানিং নতুন ইনভার্টার এসিগুলো বাজারে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর সেই সাথে সেগুলো বহুল প্রচলিত নন ইনভার্টার এসিগুলোর তুলনায় ঠিক কতটা ভালো বা উন্নত সেই প্রশ্নও সহজাতভাবেই উঠে আসে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক-

একটি নন ইনভার্টার এসিতে এর কম্প্রেসারটি একটি নির্দিষ্ট গতিতে চলতে থাকে, এর মানে দাঁড়ায় যে কম্প্রেসারটি চালু রেখে দিলে রুমের ভেতরের তাপমাত্রা ক্রমাগত কমতেই থাকবে। ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারণ করা তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য এসিটি ঠান্ডা কিছুটা বেশি হয়ে গেলেই এর কম্প্রেসারটি বন্ধ করে দেয়, আবার গরম কিছুটা বেড়ে গেলে আবার সেটিকে চালু করে দেয়। এই অন অফ হওয়ার ব্যাপারটা পুরোপুরি একজন ব্যবহারকারীর সেটিংস বা নির্ধারিত তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।

অন্যদিকে একটি ইনভার্টার এসিতে এর কম্প্রেসার সর্বক্ষণ চলতেই থাকে, আর পছন্দের তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য কম্প্রেসারটি সম্পূর্ণ অফ না করে দিয়ে  এসিটি এর গতি ধীরে ধীরে বাড়াতে বা কমাতে থাকে। স্পষ্টতই রুমে একদম পারফেক্ট ভাবে একই তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য ইনভার্টার এসিগুলোই সবচেয়ে বেশি কার্যকর। আর সেজন্যই তাপমাত্রার সামান্যতম পরিবর্তনেই যেসব ব্যক্তিদের সমস্যা হয়, তাদের জন্যও ইনভার্টার এসিই সেরা। আর কয়েক মিনিট পর পর একটি শক্তিশালী কম্প্রেসারকে সম্পূর্ণ বন্ধ ও চালু করার প্রয়োজন না পড়ায় এই এসিগুলো তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে। এই পর্যন্ত পড়ে যদিও মনে হচ্ছে যে ইনভার্টার এসি ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো, তবুও দু ধরণের এসির মধ্যে নিচের তুলনামূলক তালিকাটি দেখার পর আপনার ধারণা বদলেও যেতে পারে।

ইনভার্টার এসিঃ

সুবিধা অসুবিধা
  • পরিবেশ বান্ধব
  • এনার্জি বা শক্তি বাঁচানোর জন্য ধীরগতিতে ঠান্ডা করে।
  • অল্প বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বলে ব্যবহারের খরচ বাঁচায়।
  • মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি খরচ হয়।
  • শব্দ হয় খুবই কম নয়ত একেবারেই নিঃশব্দ।
  • নন ইনভার্টার এসির তুলনায় এদের দামও অনেক বেশি।
  • কার্যকরী কুলিং (ঠান্ডা) / হিটিং (গরম)
  • কম্প্রেসারের জন্য বাসার বিদ্যুৎ সংযোগে কোন ভোল্টেজ তারতম্য হয় না।
  • সোলার প্যানেলের সাহায্যে চালানো সম্ভব।

নন ইনভার্টার এসিঃ

সুবিধা  অসুবিধা
  • অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ার জন্য বেশি উপযুক্ত ও কার্যকর।
  • অধিক শক্তি খরচ করে এবং ইলেকট্রিক বিলও বেশি আসে, তাই ব্যবহার করা বেশ ব্যয়বহুল।
  • দ্রুততর কুলিং সিস্টেম।
  • চলার সময় বেশ শব্দ করে।
  • বড় রুমের জন্য তুলনামূলক ভাবে ভালো।
  • ইনভার্টার এসির তুলনায় এদের দাম বেশ কম।

মাথায় রাখার মত অন্যান্য বিষয়

ইনভার্টার কিংবা নন ইনভার্টার এসির মধ্যে থেকে বাছাই করার পাশাপাশি আরো এমন বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো এসি কেনার সময় বিবেচনা করে দেখা জরুরি

    • ব্যবহারের মাত্রাঃ আপনি যদি ৪-৫ ঘন্টার বেশি সময় ধরে এসি চালান, যেটা এখনকার তীব্র গরমের সময় অস্বাভাবিক কিছু নয়, তাহলে আপনার জন্য হয়ত একটি ইনভার্টার এসি কেনাই সঠিক সিদ্ধান্ত। যদিও একটি ইনভার্টার এসির দাম প্রাথমিক ভাবে অনেক বেশি পড়ে যায়, তবুও এটি বিদ্যুৎ বাঁচায় এবং শক্তির যথাযথ ব্যবহার করে। অতএব দীর্ঘমেয়াদী ভাবে চিন্তা করে দেখলে আপনি আসলে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে পারবেন।
    • রুমের আকার আয়তনঃ ইনভার্টার এসির মূল ফাংশন হলো যে এটি কম্প্রেসার ও ফ্যান স্পিড নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে এসিটির সামগ্রিক ক্যাপাসিটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অতএব সাধারণ ও মাঝারি আকারের রুমের জন্য ইনভার্টার এসি একটি দারুণ সংযোগ হতে পারে। কিন্তু আবার ইনভার্টার এসি অতিরিক্ত গরম ও অধিক তাপমাত্রায় ততটা কার্যকরী ভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। সেজন্য বড় রুমের জন্য একটি নন ইনভার্টার এসি কেনাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।
    • জলীয় বাষ্পঃ যদি আপনি এমন এলাকার বাসিন্দা হন, যেখানে বাতাসের জলীয় বাষ্প অনেক বেশি, সেখানে ইনভার্টার এসি কেনাটা আসলে ততটা কার্যকর হবে না। কেননা এসির চারিদিকে ও ভেতরে থাকা লবণ ধীরে ধীরে এর পার্টসগুলো ক্ষয় করে দিবে এবং একটা সময় আপনাকে তা মেরামত করার জন্য উচ্চমূল্যের চার্জ গুনতে হবে।

কোন ব্র্যান্ডের এসি কেনা ভালো হবে?

বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক সংখ্যক এসির ব্র্যান্ড রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু কিছু ব্র্যান্ড লক্ষনীয় মাত্রায় জনপ্রিয়, যেমন গ্রি, জেনারেল, শার্প, প্যানাসনিক, ভিশন, স্যামসাং, হায়ার, হিটাচি, এলজি এবং ক্যারিয়ার। এদের মধ্যে কয়েকটি ব্র্যান্ড সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে দেয়া হলোঃ

ওয়ালটন 

কাঠ ফাটা গরমে বাসা কিনবা অফিসে প্রশান্তির ছোঁয়া চাইছেন? ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ইনভারটার এবং নন-ইনভারটার এসির দারুণ কালেকশন. স্মার্ট কন্ট্রোলিং এর পাশাপাশি এসব এসি আপনার বিদ্যুৎ বিলকে রাখবে আরও সাশ্রয়ী। দেখে নিন ওয়ালটনের বেশ কিছু কালেকশনঃ  

  • ওয়ালটন ১.৫ টন ডাব্লিউএসআই-ইনভারনা-১৮ সি ইনভারটার স্প্লিট এসি  
  • ওয়ালটন ১.৫ টন ডাব্লিউএসআই-রিভারাইন ১৮ সি ইনভারটার স্প্লিট এসি 
  • ওয়ালটন ২ টন ডাব্লিউএসএন-ভেঞ্চুরি ২৪বি ​নন-ইনভারটার স্প্লিট এসি 
  • ওয়ালটন ১ টন ডাব্লিউএসআই-ভেঞ্চুরি-১২এ ইনভারটার স্প্লিট এসি 
  • ওয়ালটন ২ টন ডাব্লিউএসএন-২৪ বিএইচ নন- ইনভারটার স্প্লিট এসি 
  • ওয়ালটন ১ টন ডাব্লিউএসআই-রিভারাইন-১২এ ইনভারটার স্প্লিট এসি

গ্রি

নানা ধরণের বৈচিত্র্য ও ফিচারে ভরা এসির সমাহার নিয়ে গ্রি আমাদের দেশের বাজারে রয়েছে বেশ লম্বা একটা সময় ধরে। বসত বাড়ির জন্য তাদের এসিগুলো আদর্শ। তাদের টন সাইজেও রয়েছে বিভিন্ন রকমের অপশন। গ্রি -এর কিছু উল্লেখযোগ্য এসির মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে:

  • গ্রি ১.৫ টন জিএসএইচ-১৮ইউসিভি ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার
  • গ্রি ১.০ টন জিএসএইচ-১২এফভি ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার
  • গ্রি ২ টন জিএসএইচ-২৪ভিভি ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার
  • গ্রি ১.৫ টন উইন্ডো এয়ার কন্ডিশনার
  • গ্রি ক্যাসেট টাইপ ৫ টন জিএস-৬০টিডব্লিউ এয়ার কন্ডিশনার

জেনারেল

আমাদের মধ্যে অনেকেই ছোটবেলা থেকেই প্রায় সব ঘরে ঘরে জেনারেল উইন্ডো এসি দেখে এসেছি। বর্তমানে জেনারেল নিয়ে এসেছে আরো বিভিন্ন ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্যের এসির সংগ্রহ। তাদের এসিগুলোর দাম অন্যদের তুলনায় কিছুটা বেশি হয় কিন্তু প্রায়ই তাদের পণ্যে বিভিন্ন রকম ডিসকাউন্ট অফার দেয়া হয়। জেনারেলের বিপুল কালেকশন থেকে আমাদের পছন্দের কয়েকটি মডেল হচ্ছেঃ

  • জেনারেল ১ টন এএসজিএ১২বিএমটিএ এয়ার কন্ডিশনার স্প্লিট এসি
  • জেনারেল ২.৫ টন ক্যাসেট টাইপ এয়ার কন্ডিশনার
  • জেনারেল উইন্ডো ১.৫ টন এয়ার কন্ডিশনার
  • জেনারেল ১ টন এএসএইচ১২ইউএসসিসিডব্লিউ এয়ার কন্ডিশনার- পরিবেশ বান্ধব এসি

স্যামসাং

মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, এমনকি এয়ার কন্ডিশনার – স্যামসাং কোম্পানি হাজার রকমের পণ্য উৎপাদন করে বৈশ্বিক বাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশের মার্কেটেও একটি অন্যতম প্রগতিশীল ব্র্যান্ডে পরিণত হয়ে উঠেছে। স্যামসাং তাদের অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মত এসিগুলোতেও একই ধরণের গুণগত মান ও সেবা দিয়ে যাচ্ছে, আর সেই সাথে তাদের উদ্ভাবনী ডিজাইনের বোনাস তো থাকছেই। স্যামসাং এর এসিগুলোর মধ্যে আমাদের পছন্দঃ

  • স্যামসাং ইনভার্টার ২.০ টন এয়ার কন্ডিশনার- ৮ পোল ডিজিটাল ইনভার্টার
  • স্যামসাং ১.৫ টন এআর১৮জে ত্রিকোণ ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার
  • স্যামসাং এআর১২জেসি৫ইএসএলজেডএনএনএ ১ টন স্প্লিট এয়ার কন্ডিশনার- বিভিন্ন রকম রং ও প্যানেল ডিজাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

ভিশন

আমাদের দেশে প্রাণ এবং আরএফএল এর যৌথ প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা একটি লোকাল ব্র্যান্ড হচ্ছে ভিশন। তুলনামূলক ভাবে নতুন এই ব্র্যান্ডটি জাতীয় মার্কেটে খুব দ্রুত একটি লক্ষণীয় অবস্থানে পৌঁছে গেছে। ভিশনের সংগ্রহে রয়েছে নানা ধরণের বাহারি ইলেকট্রনিক্স পণ্য, আর তাদের এসিগুলো দিন কে দিন আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমাদের বাছাই করা কয়েকটির নাম হলোঃ

  • ভিশন এসি ১.৫ টন – বিএক্সএইচ এইচ এন্ড সি (থ্রি ডি এলিট)
  • ভিশন এসি ক্যাসেট টাইপ ৩.০ টিআর (সি৩৬কে)
  • ভিশন এসি ৩.০ টন – টি৩৬কে (সিলিং)

শেষ কথা

সর্বোপরি আমাদের দেশ ও এখানকার দুঃসহ গরম আবহাওয়ার জন্য একটি নন ইনভার্টার এসিই সম্ভবত সবচেয়ে দ্রুত ও কার্যকরী কুলার হতে পারে। কিন্তু এর বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করার সমস্যাটা এর বাকি সব সুবিধাগুলোকে ফিকে করে দেয়। আপনি যদি তুলনামূলক ভালো কুলিং এবং একই সাথে এনার্জি সাশ্রয়ী এসির খোঁজ করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য একটি ইনভার্টার এসিই হবে সেরা অপশন। যেটাই কেনার সিদ্ধান্ত নিন না কেন, সবসময় এসি সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো মাথায় রেখে তারপরই কিনবেন, যেমন- রুমের সাইজ, এসি কতক্ষণ চালাতে চান সেই হিসাব এবং সবশেষে আপনার পছন্দমত একটি বাজেট। Bikroy.com -এ রয়েছে অগণিত বিক্রেতাদের পক্ষ হতে শত শত জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মধ্যে থেকে বহু সংখ্যক মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য এসির সংগ্রহ। এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন সময়ে এসির উপর নানা রকম ডিসকাউন্টের অফার দিয়ে থাকেন। তাই আজই ঘুরে আসুন আমাদের ওয়েবসাইটে আর নিজের ঘরে নিয়ে আসুন আপনার বহু সাধের একটি এসির শীতল আমেজ!

Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Related Articles

Back to top button
Close
Close