চাকরি

যে ৫ টি ভুল আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর

একটি নতুন চাকরি শুরু করার পর আমরা অনেকেই নানা রকম ভুল করে থাকি। এর মধ্যে কিছু ভুল সহজেই শুধরে নেয়া যায় আর তেমন কোন বড় ক্ষতিও করে না, কিন্তু কিছু ভুল এমন রয়েছে যেগুলো আমাদের চাকরি খোয়ানোর কারণ হতে পারে। আমাদের করণীয় কাজ সম্পর্কিত ভুলগুলো আমরা সময়ের সাথে ধীরে ধীরে এড়িয়ে চলতে শিখি, একই সাথে নানা রকম অভিজ্ঞতা থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারি। কিন্তু আমাদের স্বভাবের ভুলগুলো এমন, যার পেছনে আমাদের স্বক্রিয়ভাবে কাজ করা এবং সব সময়ই এই ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার।

আমাদের স্বভাবের মারাত্মক ভুলগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্যারিয়ারের পথে সামনে এগিয়ে চলার রাস্তা খুঁজে পেতে পারি এবং ভবিষ্যতে সত্যিকারের সাফল্য অর্জন করতে পারি। আজ আমরা এমন কিছু সর্বজনীন ভুল আপনাদের সামনে তুলে ধরবো যেগুলো একটা সময় আপনার ক্যারিয়ারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। পাশাপাশি আমরা জানবো এমন কিছু টিপস, যার সাহায্যে এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলা আপনাদের জন্য সহজ হবে।

যদি প্রায়ই নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া আপনার চাকরির একটি অংশ হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের আগের প্রতিবেদনটি পড়ে দেখতে পারেন কর্মী নিয়োগ দেয়ার সময় সাধারণ কিছু ভুল সম্পর্কে।

১. কর্মস্থলে সম্পর্ক রক্ষা করার ব্যাপারে উদাসীনতা

বেশির ভাগ চাকরিতেই একটি খোলামেলা অফিস স্পেসে অনেক রকম সহকর্মী, সুপারভাইজার এবং অধস্তন কর্মীদের পাশে বসে একসাথে কাজ করার প্রচলন রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই কেবল মাত্র নিজ নিজ কাজ ও দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকি, অথচ যাদের সাথে বসে কাজ করছি তাদের কথা এক রকম ভুলেই যাই। আমাদের যার যার অফিস স্পেসে ইতিবাচক ও মনোরম পরিবেশ তৈরি করার জন্য আমাদের উচিত প্রত্যেকটি সহকর্মী এবং স্টাফদের সাথে পরিস্থিতি বুঝে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা।

কর্মক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হচ্ছে প্রমোশন বা পদোন্নতি হওয়ার সুযোগ। প্রায়শই দেখা যায় যে, যেসব কর্মীরা তাদের সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ, তারা খুব অল্প সময়েই উচ্চতর পদে প্রমোশন পেয়ে থাকেন। কেননা এই কর্মীরা তাদের অসাধারণ যোগাযোগের দক্ষতা এবং বন্ধুসুলভ আচরণের জন্য সবার চোখে একেকজন ভালো নেতা হিসেবে বিবেচিত হন।

অতএব, আপনার চারপাশের মানুষগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চললে একদিকে যেমন অফিসের পরিবেশে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেয়া আপনার জন্য সহজ হবে, অন্যদিকে ভবিষ্যতেও আপনি আপনার ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত অবস্থানে পৌঁছে যেতে পারবেন। সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার কিছু সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো তাদের সাথে দেখা হওয়া মাত্রই সহজ ভাবে কুশল বিনিময় করা, যেমন- সাক্ষাতে “হ্যালো” কিংবা সালাম বিনিময় করা যেতে পারে। এছাড়া বিরতি বা অবসর সময়ে তাদের সাথে বন্ধুসুলভ কথোপকথন, আড্ডা দেয়া এগুলোও কর্মক্ষেত্রে আপনার কাজের অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও আন্তরিক।

আমাদের এই প্রতিবেদনটি পড়ে দেখতে পারেন নিয়োগকারীদের চোখে যোগাযোগের দক্ষতা কতটা জরুরি এবং ক্যারিয়ারের কোন গুণগুলো চর্চা করা উচিত

২. নেটওয়ার্কিং না করা

আপনি যেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন, সেখান থেকে সেরা সুবিধাগুলো পেতে চাইলে নেটওয়ার্কিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। সামগ্রিকভাবে আপনার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে থাকা মানুষগুলোর সাথে পরিচয় রাখার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রের সম্পর্কগুলো কোম্পানির বাইরেও বিস্তার করা সম্ভব। অন্যান্য কোম্পানি কিংবা ক্ষেত্রের মানুষগুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার সুবিধা হচ্ছে যে আপনি বাস্তবে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য আরো বেশি উন্নতির সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন।

আপনার নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা মানুষগুলো একটা সময় আপনার ক্যারিয়ারের যাত্রায় সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারেন; কেননা তারা প্রতিনিয়ত আপনাকে আরো ভালো পদের চাকরি এবং আপনার কাজের সাথে জড়িত সুযোগগুলো আপনাকে জানিয়ে দিতে পারবেন। তাই আপনার নেটওয়ার্ক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আপনার সমমানের ক্ষেত্রে কাজ করছেন এমন ব্যক্তিদের সাথে পরিচিত হতে চাইলে অফিসের বাইরে মাঝেমধ্যে যাতায়াত করা এবং ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িত ছোট বড় ইভেন্ট এবং কনফারেন্সে অংশ নেয়া খুবই জরুরি। এই উপায়ে আপনি নিজেকে শুধুমাত্র একটি কোম্পানির গন্ডিতে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং আপনার ক্যারিয়ারকে আরো সমৃদ্ধ করে তোলার মত সুবর্ণ সুযোগগুলো সম্পর্কে বেশি করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

আপনার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার আরো একটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে আপনার কোম্পানির নিয়োগকারীদের সাথে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করে চলা, বিশেষ করে যখন আপনি চাকরিটি ছেড়ে দিচ্ছেন। একটি চাকরি ছেড়ে দেয়া কিংবা বহিষ্কার হওয়াটা যে সব সময় খারাপ ভাবেই ঘটতে হবে এমন কোন কথা নেই। বরং আপনার নিয়োগকারীদের সাথে চাইলে আপনি একটি ভালো বোঝাপড়া তৈরি করে নিতে পারেন, যাতে করে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ রাখেন এবং ভবিষ্যতে আপনার উপযুক্ত কোন চাকরির সুযোগ থাকলে আপনার জন্য সুপারিশ করতে রাজি হন।

নেটওয়ার্কিং করার আরো একটি সুবিধা হচ্ছে যে আপনি এমন কিছু ইন্ডাস্ট্রিও খুঁজে পাওয়ার সুযোগ পাবেন যেখানে আপনার ভালো পারফর্ম করার সম্ভাবনা রয়েছে। দেখে নিন বাংলাদেশের সেরা দশটি আকাঙ্ক্ষিত চাকরির তালিকা। আর যদি আপনার এই ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করা কোন ব্যক্তির সাথে পরিচয় থাকে, তাহলে আপনার বর্তমান চাকরির চেয়েও ভালো কোন চাকরির সুযোগ খুঁজে পেতে পারেন খুব সহজেই।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া বা গণমাধ্যমের অপব্যবহার

আজকের দিনের দ্রুত গতির ডিজিটাল দুনিয়ায় আমরা দেখেছি সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে দৈনন্দিন জীবনের পাশাপাশি আমাদের ক্যারিয়ারের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকেই ফেসবুক, কিংবা অন্য যেকোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোন কিছু পোস্ট দেয়ার সময় তেমন একটা ভাবার প্রয়োজন মনে করি করি না। অথচ এই খামখেয়ালি পোস্টগুলো আমাদের কর্মজীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার বস কিংবা সহকর্মীদের ব্যাপারে অযাচিত খারাপ কোন মন্তব্য পোস্ট কিংবা কমেন্ট করলে সেটি যদি তাঁদের চোখে পড়ে, তাহলে আপনি বড় রকম বিপদেও পড়তে পারেন। ইন্টারনেটে সব কিছু এতটাই খোলামেলা যে এরকম কিছু ঘটা অস্বাভাবিক নয়। একই ভাবে আপনার কর্মক্ষেত্র বা অফিস নিয়ে খারাপ কোন পোস্ট বা কমেন্ট করলে আপনার চাকরিটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

যেটাই হোক, এখানে চাকরি চলে যাওয়ার চেয়েও খারাপ কিছু আপনার সাথে ঘটতে পারে। এর পর নতুন একটি চাকরি খুঁজে পাওয়া আরো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে, কেননা আজকাল অনেক কোম্পানিই নতুন কোন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার সময় সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো দেখে  তাঁর অতীত ইতিহাস নিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। আর যদি নিয়োগকারীরা দেখেন যে আপনি সবার সামনে আপনার আগের চাকরিদাতাদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন, তাহলে আপনাকে তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে আর কোন আগ্রহই হয়ত থাকবে না।

অতএব আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ব্যবহার করার সময় স্মার্ট হোন এবং যেকোনো কিছু পোস্ট করার আগে ভেবে নিন। আপনার কর্মক্ষেত্রে যা কিছুই ঘটছে, সে সব কিছুর ব্যাপারে গণহারে পোস্ট করা বা কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন এবং যাদের সাথে আপনি কাজ করছেন তাদের ব্যাপারে খোলাখুলি ভাবে কখনোই কোন খারাপ মন্তব্য করবেন না!

৪. কাজ করার সময় ঢিলেমি বা অবহেলা করা

এটা নিঃসন্দেহে একটি বিশাল ভুল। কাজের ক্ষেত্রে আপনার সেরা চেষ্টাটা না দেয়া কিংবা কাজের সময় ঢিলেমি করার অভ্যাস থাকলে তা আপনার সুপারভাইজারদের চোখে পড়তে বাধ্য। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ না করতে পারা, ঠিকভাবে গুরুত্ব সহকারে কাজটি শেষ না করা, কিংবা দলবদ্ধ কাজের ক্ষেত্রে নিজে কিছু না করে আপনার সহকর্মীদের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল থাকার মত ভুলগুলো আপনাকে আপনার ঊর্ধ্বতন বা সিনিয়রদের নজরে একটি বিপদজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। প্রথম দিকে হয়তো আপনাকে একটি সতর্ক বার্তা পাঠাবে, যাতে করে আপনি সেই ভুল আর না করেন। কিন্তু তারপরও আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে সেই একই ধরণের ভুল বার বার করতে থাকেন, তাহলে খুব শীঘ্রই হয়ত আপনার চাকরি চলে যেতে পারে।

যদিও যেকোনো চাকরিতে একেবারে নিখুঁত রেকর্ড রাখা কখনোই সম্ভব নয়, তারপরও নিয়োগদাতারা তাঁদের কর্মচারীদের কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিষ্ঠা ও চেষ্টা পাবার আশা করেন। যদি আপনি ক্রমাগত তাদেরকে আপনার পারফর্মইয়া পারফর্মেন্স দিয়ে নিরাশ করতে থাকেন, তাহলে হয়তো সময় এসেছে নিজেকে নতুন করে মূল্যায়ন করার এবং কেনো আপনার পারফর্মেন্স খারাপ হচ্ছে তার কারণ খুঁজে বের করার।

চাকরিতে ঢিলেমি বা অবহেলা শুরু করার আরো একটি বড় কারণ হতে পারে যে মানুষটি সেই কাজে আর নতুন করে উৎসাহ পাচ্ছেন না। আপনার বর্তমান চাকরির জায়গা থেকে মোটামুটি ভালো বেতন এবং ভালো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরও হয়তো আপনার এমনটা অনুভব হতে পারে যে কাজটি আদৌ আপনার জন্য নয়। সেজন্য আমাদের মধ্যে অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন ক্যারিয়ার অপশন খুঁজে দেখেন যে তাঁদের জন্য ঠিক কোন অপশনটা সবচেয়ে মানানসই। আর সেখান থেকে প্রায়ই আমরা এমন কোন কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ি, যেখানে আমরা আমাদের স্বার্থ বা প্রাপ্তির দিকটা ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র বেতনের অংকটাই বড় করে দেখি, আর অপ্রাপ্তি নিয়ে কাজ করি। এরকম ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই সেজন্য ভালোভাবে রিসার্চ করে নেয়া দরকার যে আমরা ঠিক কোন ধরণের চাকরি করতে চাই এবং এদের মধ্যে কোনটি সত্যিকার অর্থে আমাদের পছন্দের ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারবে। আমাদের প্রতিবেদনটি পড়ে দেখে নিতে পারেন যেকোনো চাকরিতে আবেদন করার আগে যে তথ্যগুলো যাচাই করে নেয়া দরকার

৫. কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তনের সাথে তাল না মেলানো

আজকাল কর্ম প্রতিষ্ঠানগুলোয় দ্রুত হারে পরিবর্তন হচ্ছে এবং তারা মার্কেটে সেরা অবস্থানে পৌঁছাবার জন্য নিজ নিজ কৌশলগুলোকে নতুন ভাবে সাজাচ্ছেন। প্রতি বছর প্রযুক্তির নতুন মাত্রায় অগ্রগতির সাথে মার্কেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টিকে থাকার জন্য কোম্পানিগুলোকে সর্বশেষ পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে সব সময়। একই ভাবে প্রতিষ্ঠানের নিত্য পরিবর্তনশীল চাহিদার সাথে তাল মেলাতে সেখানে থাকা কর্মীদেরও প্রতিনিয়ত নিজেদের দক্ষতাগুলোকে ঝালাই করে নিতে হয়।

আর এমনটা করার জন্য কর্মীদের মধ্যে পরিবর্তনের ক্ষমতা এবং নতুন পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার দক্ষতা থাকা দরকার। এছাড়াও ঐ কোম্পানির জন্য মূল্যবান সম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য তাদের নিজ নিজ দক্ষতাগুলোকে এবং নিজেদেরকে আরো বেশি উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয় সব সময়।

যেসব কর্মীরা এই সব পরিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে চান না, তারা একটা সময় প্রতিষ্ঠানটির জন্য অপ্রয়োজনীয় বোঝায় পরিণত হন, ফলস্বরূপ কিছুদিন পর তাদের চাকরিও চলে যায়। আপনার চাকরিটি যদি হারাতে না চান, তাহলে নিয়মিত নিজের দক্ষতাগুলোর মধ্যে ছোটখাটো ভুলগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে এবং সেগুলো সংশোধন করতে হবে। পাশাপাশি আপনার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করার জন্য প্রয়োজনে নতুন কিছু দক্ষতার চর্চাও করতে হবে। আপনার কর্মপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বাইরের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও সেমিনারগুলোতে নানা রকম ট্রেনিং এর অপশন আপনি খুঁজে পাবেন। কাজের ফাঁকে এসব ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

নতুন নতুন পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে এবং সময়ের সাথে নিজের দক্ষতাগুলোকে উন্নত করতে না পারলে শুধুমাত্র আপনার বর্তমান চাকরিতেই টিকে থাকা কষ্টকর হবে তা না, একই সাথে নতুন কোন চাকরি খুঁজে পেতেও বেশ ঝামেলা পোহাতে হবে। আরও দেখে নিন নতুন প্রতিভা ও প্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগকারীরা ঠিক কী ধরণের দক্ষতা ও গুণাবলী খোঁজেন

ইতিকথা

আশা করি আজকের প্রতিবেদনটি আপনাকে আপনার ক্যারিয়ারে এড়িয়ে চলার মত কিছু মারাত্মক ভুল সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছে। যেকোনো চাকরিতে প্রথম প্রথম কিছু ভুল করা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সময়ের সাথে ধীরে ধীরে যখন আপনার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ঝুলি বড় হবে, তখন নিজেকে সেই অনুযায়ী ঝালাই করে নিলে আর কোন ভুল করার সম্ভাবনাই থাকবে না।

এই মুহূর্তে যদি আপনি চাকরির খোঁজ করতে থাকেন, তাহলে দেখে নিন ইন্টারভিউয়ের সময় কি করা উচিত আর কি উচিত না

আজই ভিজিট করুন Bikroy.com -এ, আর খুঁজে নিন বাংলাদেশের সেরা কিছু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শত শত আকর্ষণীয় চাকরির অফার

সফল ক্যারিয়ারের পথে হয়ত আরো কিছু ভুল হতে পারে যেগুলো আমাদের সবার জেনে নেয়া ও শুধরে নেয়া দরকার। আপনার কি মত? জানান নিচে আমাদের কমেন্ট সেকশনে!

Facebook Comments
সাবস্ক্রাইব করুন

No spam guarantee.

Show More

Related Articles

Back to top button
Close
Close